রেইক্লাস্ট
ইন্ডিং গিয়ার গেমসের জনপ্রিয় ‘পাথ অব এক্সাইল’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্বটি এখন খেলোয়াড়দের জন্য উন্মুক্ত। ডিয়াব্লোর মতোই এই গেমটিতে অ্যাকশন RPG জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপাদানগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে। যদিও গেমটির মোট ছয়টি অধ্যায় থাকবে, তবে এখনো তিনটি অধ্যায় তৈরি হয়েছে। এই তিনটি অধ্যায় শেষ করতেই প্রায় ১০০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে, যা এই গেমটির বিশালতা ও গভীরতার পরিচয় দেয়।এই গেমটিতে মোট ১০০টি এলাকা, ১০০টি শক্তিশালী বস এবং ৬০০ ধরনের ভয়ানক শত্রু থাকবে। গেমটির প্রথম অংশ খেলতে হলে অ্যাকসেস পাস কিনতে হবে। কিন্তু পুরো গেমটি মুক্তি পেলে তা বিনা মূল্যে খেলা যাবে। তবে, তখন খেলায় অতিরিক্ত কিছু কিনতে হতে পারে।
রেইক্লাস্ট মহাদেশে কালো জাদুবিদ্যার ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে। অতিপ্রাকৃত শক্তির আধিপত্যে মানুষের অস্তিত্বই এখন সংকটাপন্ন। হাজার বছর আগে পরাজিত এক অত্যন্ত শক্তিশালী অতিপ্রাকৃত শক্তি আবারও জেগে উঠতে চলেছে। এই অন্ধকার শক্তিকে পরাস্ত করে রেইক্লাস্টকে বাঁচানোর দায়িত্ব তোমার উপর ন্যস্ত। তোমাকে অন্ধকারের গভীরে যেতে হবে, ভয়ানক শত্রুদের মোকাবিলা করতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত রেইক্লাস্টকে মুক্ত করতে হবে।পাথ অব এক্সাইল ২ খেলতে গেলে ডিয়াব্লো সিরিজের কথা মনে না পড়াটা কঠিন। দুটো গেমেই আইসোমেট্রিক ভিউ, অন্ধকার কল্পকাহিনী আর বিভিন্ন ধরনের চরিত্র তৈরির সুযোগ আছে। তবে এখন পরিস্থিতি উল্টো! অনেকেই মনে করেন, ডিয়াব্লোই এবার পাথ অব এক্সাইলকে অনুকরণ করছে। পাথ অব এক্সাইল ২-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো চরিত্র তৈরির স্বাধীনতা। এই গেমে মোট ১২ ধরনের মূল চরিত্র আর প্রতিটি চরিত্রের আবার দুটি করে উপ-শ্রেণি আছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন শ্রেণি যোগ হবে।
পাথ অব এক্সাইল ২-এর স্কিল সিস্টেম অনেক গভীর এবং জটিল। প্রতিটি চরিত্রের জন্য একটা বিশাল স্কিল ট্রি আছে, যা একটা জালের মতো বিস্তৃত। এই স্কিলগুলোকে বিভিন্নভাবে একত্রিত করে নতুন নতুন ক্ষমতা তৈরি করা যায়। শুধু লেভেল বাড়ালেই হবে না, বিভিন্ন স্কিল জেম এবং সাপোর্ট জেম ব্যবহার করে স্কিলগুলোকে আরও শক্তিশালী করা যায়। একটা স্কিলের সাথে অন্য কয়েকটি স্কিলকেও যুক্ত করা যায়। এই সিস্টেমটির কারণে প্রতিটি খেলোয়াড়ের চরিত্র একদম অনন্য হবে। তবে, এই সিস্টেমটি অনেক জটিল হওয়ার কারণে অনেকেই এই গেমটিকে খুব কঠিন মনে করতে পারে।
অ্যাকশন আরপিজি খেলা পছন্দ করলে পাথ অব এক্সাইল ২ তোমাকে নিরাশ করবে না। এই গেমটা এত বড় যে, তুমি এটা শেষ করতে কয়েক বছরও ব্যয় করতে পারবে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল প্রথম পাথ অব এক্সাইলের ক্ষেত্রে। এখন আমরা সবাই অপেক্ষা করছি এই গেমটির পুরো সংস্করণ মুক্তির।
- অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০
- প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৭ ৭৭০০ বা এএমডি রাইজেন ৫ ২৫০০এক্স
- মেমোরি: ৮ জিবি র্যাম
- গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিটিএক্স ৯৬০, ইন্টেল আর্ক এ৩৮০ বা এএমডি আরএক্স ৪৭০
- হার্ড ডিস্ক: ১০০ জিবি ফ্রি স্পেস